খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা

Under Construction

খুলনা জিলা স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী কর্নারে স্বাগতম।

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এ দেশটির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী বাংলাদেশের স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বতন্ত্র দেশ পেয়েছি, তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।


স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনীতি-সবখানে সাফল্য অর্জন করায় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায় বাংলাদেশ; যাকে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সফল অর্থনীতি হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। 

একাত্তরের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালীদের উপর অতর্কিত হামলা চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

‘বিশাল রক্তের স্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমারা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা ৩০ লাখ বীর শহীদ যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। জীবনবাজী রেখে তারা লড়াই করেছেন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালির জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৯৭১ সালের গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আমাদের আজীবন পথ দেখাবে। মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে।